প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন ২০২৩ করার নিয়ম

Disability Allowance Online Application Rules 2023: আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাদের প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিব।

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন ২০২৩ করার নিয়ম
প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন

এখানে, আমরা Disability Allowance আবেদন সংক্রান্ত সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে জানতে পারবেন।

অর্থাৎ আপনি যদি প্রতিবন্ধী ভাতার অনলাইন আবেদন করতে চান। তাহলে আপনাকে কোন ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

সেই ওয়েবসাইটে আপনার কি কি তথ্য প্রদান করতে হবে। এই যাবতীয় বিষয় গুলো নিয়ে আজকে ধাপে ধাপে আলোচনা করব।

প্রতিবন্ধী ভাতা কি?

যেহেতু আপনি প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। সেহেতু অবশ্যই এই প্রতিবন্ধী ভাতা কি, সে সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে।

আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে মোট জনসংখ্যার যত গুলো মানুষ শারীরিক প্রতিবন্ধীকতার স্বীকার। তারা যেন সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়, তারা যেন আমাদের সমাজে অবহেলিত না হয়।

আপনি আরোও  জানতে পারবেন…

সে কারণে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আর্থিক সহায়তা করার কার্যক্রম চালু করেছে। আর বাংলাদেশ সরকারের এই বিশেষ কার্যক্রম কে বলা হয়ে থাকে, প্রতিবন্ধী ভাতা।

যেখানে শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধীকতার স্বীকার হওয়া ব্যক্তিদের প্রতি ৩ মাসের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে সহায়তা করা হয়।

প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদনের যোগ্যতা কি?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, প্রতিবন্ধী ভাতা কাকে বলে। তবে এ বিষয় টি জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।

সেটি হল, যদি আপনি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে আপনার কি কি যোগ্যতা লাগবে সে সম্পর্কে আপনার অবশ্যই পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত।

কেননা আপনি যদি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে আপনার নিকট বেশ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। আর সে গুলো হল, 

  1. আপনাকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট এলাকার মধ্যে একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
  2. আপনাকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ”অধিকার ও সুরক্ষা আইন” এর নিয়ম অনুযায়ী সমাজসেবা কার্যালয় থেকে নিবন্ধিত ব্যক্তি হতে হবে। এর পাশাপাশি আপনাকে উক্ত কার্যালয় হতে পরিচয় পত্র গ্রহণ করতে হবে।
  3. আপনি একজন প্রতিবন্ধী হয়ে যে জেলার নাগরিক সেই জেলা থেকে নিবন্ধিত হতে হবে। এর পাশাপাশি পরিচয় পত্র নিতে হবে। 
  4. আপনি একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হয়ে যদি আপনার বার্ষিক ইনকাম ৩৬ হাজার টাকার কম হয়। তাহলে আপনি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  5. প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অবশ্যই আর্থিক অবস্থা স্বল্প হতে হবে। অর্থাৎ দুস্থ প্রতিবন্ধী হতে হবে। তাহলেই আপনি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। 
  6. এছাড়াও যখন আপনি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করবেন। তখন অবশ্যই বাছাই কমিটি আপনার আবেদন টি যাচাই করবে, তারপর সেটির গ্রহণযোগ্যতা পাবে। 

তো একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হয়ে যখন আপনি সরকার কর্তৃক প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করবেন। তখন আপনার নিকট কোন কোন যোগ্যতা গুলো প্রয়োজন হবে।

অর্থাৎ আপনার অবস্থা কি রকম হতে হবে এবং কখন আপনার আবেদন গ্রহণ করা হবে। সেগুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

যদি উপরে উল্লেখিত বিষয় গুলো আপনার সাথে মিলে যায়। তাহলে আপনি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ভাতা প্রাপ্তির অযোগ্য কারা?

আমরা এতক্ষণের আলোচনা থেকে জানতে পারলাম যে, কোন কোন যোগ্যতা গুলো থাকলে আপনি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

তবে এবার আমি আপনাদের জানিয়ে দিবো যে, এমন কোন বিষয় গুলো রয়েছে। যে গুলো আপনার সাথে মিলে গেলে আপনি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য অযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবেন। আর সেই বিষয় গুলো হলো, 

  1. আপনি একজন প্রতিবন্ধী অথচ আপনি কোন ধরনের সরকারি চাকরি করেন। কিংবা সরকারি চাকরি পেনশন ভুক্ত হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে প্রতিবন্ধী ভাতার অযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে ধরা হবে।
  2. আপনি যদি অন্যান্য কোন মাধ্যমে সরকারি অনুদান পেয়ে থাকেন। তাহলে আপনি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য অযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবেন। 
  3. যদি আপনি কোন ধরনের বে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক অনুদান পান। এবং সেই আর্থিক অনুদান যদি নিয়মিত হয়, তাহলেও আপনার প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। 

তো এমন কোন কারণ গুলো রয়েছে, যে কারণ গুলোর জন্য আপনার প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। সেই কারণ গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

এবং এই বিষয় গুলো যদি আপনার সাথে মিলে যায়। তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে, আপনি সরকারি ভাবে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য অযোগ্য ব্যক্তি।

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করতে যা লাগবে

প্রতিটা কাজের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি একজন প্রতিবন্ধী হয়ে যখন আপনি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করবেন। তখন আপনার নিকট বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। আর সেই ডকুমেন্টস এর তালিকা টি নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমন,

  1. প্রথমত আপনার বয়স যদি ১৮ বছর এর বেশি হয়। তাহলে অবশ্যই আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করতে হবে। 
  2. তবে আপনার বয়স যদি ১৮ বছর এর কম হয়। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করতে পারবেন। 
  3. এছাড়াও প্রতিবন্ধীদের যে ”সুবর্ণ নাগরিক কার্ড” প্রদান করা হয়। সেটি অবশ্যই আপনাকে দিতে হবে।
  4. আপনার অবশ্যই একটি সচল মোবাইল নম্বর এর প্রয়োজন হবে। যে মোবাইলে বিকাশ, নগদ কিংবা অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং চালু রয়েছে।

আসলে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করার সময় আপনার নিকট যে সকল ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। সে গুলোর তালিকা উপরে উল্লেখ করা হলো।

আর আপনি অবশ্যই প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন করার সময় এই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো আপনার সাথে রাখবেন।

প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার নিয়ম

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আমরা প্রতিবন্ধী ভাতা কি এবং প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য কেমন যোগ্যতা ও ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে সে সম্পর্কে জানতে পারলাম।

তবে যদি উপরের আলোচনা গুলো পড়ারপরে আপনার মনে হয় যে, আপনি প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য যোগ্য একজন ব্যক্তি। তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে হবে। 

তো আপনি যদি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে সর্ব প্রথম আপনাকে অনলাইন থেকে আবেদন করতে হবে।

তারপর সেই অনলাইনে আবেদন করার কপি টি প্রিন্ট করে নিতে হবে। এরপর সেই প্রিন্ট করা আবেদন কপি আপনার এলাকার চেয়ারম্যান কিংবা আপনার এলাকার যে পৌরসভা কাউন্সিল রয়েছে।

সেখান থেকে স্বাক্ষরিত করে তারপর আপনার উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয় এর মধ্যে গিয়ে জমা দিতে হবে। 

আর যখন আপনি সমাজ সেবা কার্যালয় এর মধ্যে গিয়ে আপনার আবেদন পত্রটি জমা দিবেন। তারপর সেখানে কর্মরত ব্যক্তিরা আপনার আবেদন টি যথাযথ ভাবে যাচাই বাছাই করবে।

এবং এই কাজটি করার পর তাদের কাছে যদি আপনার আবেদন টি গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়। তাহলে আপনি প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার সুবিধা পাবেন।

আর পরবর্তী সময়ে আপনি আপনার মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যমে প্রতি ৩ মাস পর সরকার নির্ধারিত অর্থ পাবেন।

প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম

উপরের আলোচনা তে আমি আপনাদের একটা কথা বলেছি। আর সেই কথাটি হল যদি আপনি প্রতিবন্ধী ভাতার যোগ্য প্রার্থী হয়ে থাকেন।

তাহলে সবার আগে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আর এই অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনাকে কোন কোন নিয়ম গুলো ফলো করতে হবে।

এবং কোন কোন ডকুমেন্ট গুলো কিভাবে প্রদান করতে হবে। এবার আমি আপনাকে সে গুলো স্টেপ বাই স্টেপ দেখিয়ে দিব। যেমন, 

  1. সবার প্রথমেই আপনাকে এই ওয়েবসাইটের মধ্যে যেতে হবে।
  2. আর যখন আপনি উপরের ওয়েবসাইটের মধ্যে যাবেন। তারপর আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো প্রদান করতে হবে।
  3. তারপর সেই আবেদন কপি টি ডাউনলোড করে নিতে হবে এবং সেটি প্রিন্ট করতে হবে। 
  4. এবং সবশেষে আপনাকে সেই প্রিন্ট করা কপি টি আপনার এলাকার চেয়ারম্যান কিংবা উপজেলা কাউন্সিলের নিকট হতে স্বাক্ষরিত হবে।
  5. এবং সবশেষে সেই আবেদন পত্র টি সমাজসেবা কার্যালয় গিয়ে জমা দিতে হবে। 

তবে এখানে একটা কথাও বলে রাখা উচিত। সেটি হল, আপনি যখন উপরের ওয়েবসাইটের মত প্রবেশ করবেন। তখন অনেক সময় আপনি সেই ওয়েবসাইটের সার্ভার ডাউন দেখতে পারবেন।

কেননা এই ওয়েবসাইটের মধ্যে গিয়ে আবেদন করার সময়। আপনি প্রায় ”সিস্টেম উন্নয়নের কাজ চলছে সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত” এই কথাটি দেখতে পারবেন।

তো আপনি যদি এমন কোন কথা দেখতে পারেন। তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। বরং আপনাকে বারবার চেষ্টা করতে হবে।

এবং এই চেষ্টা করতে করতে কোন একটা সময় গিয়ে যখন আপনি উপরের এই লেখা গুলো দেখতে পারবেন না। তখন বুঝতে পারবেন যে, এখন আপনি এই ওয়েবসাইট থেকে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

প্রথম ধাপঃ প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য অনলাইন আবেদন করুন 

আপনি যদি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে আপনাকে এই https://mis.bhata.gov.bd/onlineApplication ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।

এবং আপনি যখন এই ওয়েবসাইটের প্রথম প্রবেশ করবেন। তখন আপনাকে বেশ কিছু নির্দেশনাবলী দেওয়া হবে।

আপনি অবশ্যই সে গুলো ভালোভাবে পড়বেন। তারপরে ”আমি বুঝছি” নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তার আগে আগে আপনি বামে বক্সে টিক মার্ক করে নিবেন।

disability allowance apply disability allowance apply

এবং এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনি কেমন ইন্টারফেস দেখতে পারবেন তা উপরের পিকচারে দেখানো হয়েছে। আপনি অবশ্যই এই অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। এবং তারপরে আপনি পরবর্তী পেজে প্রবেশ করবেন।

এরপর আপনি ”কার্যক্রম” নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। এখন এই অপশনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে মোট দুটি অপশন চলে আসবে।

disability allowance apply 2 disability allowance apply 2

সে গুলো হল, নির্বাচন করুন এবং প্রতিবন্ধী ভাতা। আর আপনি যেহেতু প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করবেন। সেহুতু অবশ্যই আপনাকে প্রতিবন্ধী ভাতা নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপঃ জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিন 

আপনি যখন উপরের ধাপ গুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করবেন। তারপরে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা জন্ম নিবন্ধন নম্বর দেওয়ার অপশন দেখতে পারবেন।

তো আপনার নিকট যদি  জাতীয় পরিচয় পত্র থাকে। তাহলে আপনি সেই অপশনে ক্লিক করে নিচে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর এবং জন্ম তারিখ প্রদান করবেন। 

জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিন
জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিন

যদি আপনার নিকট ভোটার আইডি কার্ড না থাকে। সেক্ষেত্রে  আপনি জন্ম নিবন্ধন অপশনের মধ্যে ক্লিক করে আপনার জন্ম নিবন্ধনের নম্বর টি বসিয়ে দিবেন।

এবং আপনার যে জন্ম সাল হয়েছে, সেটি প্রদান করার পরে ”যাচাই করুন” নামক অপশনে ক্লিক করবেন।

তৃতীয় ধাপঃ আপনার আরো কিছু ব্যক্তিগত তথ্য দিন

যদি আপনি উপরের এই কাজ গুলো সঠিকভাবে করতে পারেন। তারপরে আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গুলো দেখতে পারবেন।

যেমন, আপনার নাম, আপনার জন্ম তারিখ এবং আপনার মাতা ও পিতার নাম ইত্যাদি দেখতে পারবেন।

তো এখানে যে তথ্য গুলো অটোমেটিক ভাবে পূরণ হবে। সে গুলো আপনাকে আর এডিট করতে হবে না। বরং যে ঘর গুলো ফাঁকা থাকবে, সে গুলো আপনাকে সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে।

আর এই ধাপে আপনাকে আরো বেশ কিছু তথ্য প্রদান করতে হবে। যেমন, 

  1. আপনার বর্তমান বৈবাহিক অবস্থা। 
  2. আপনি যদি শিক্ষিত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা দিতে হবে।
  3. আপনার পরিবারে মোট সদস্য সংখ্যা কত, সেটি জানিয়ে দিতে হবে।
  4. বর্তমানে আপনি কোন পেশায় যুক্ত আছেন, তা উল্লেখ করতে হবে।
  5. আপনার বার্ষিক আয় এর পরিমাণ কত. সেটি জানিয়ে দিতে হবে।
  6. এর পাশাপাশি আপনার স্বাস্থ্যগত অবস্থা কিংবা আপনার কর্মক্ষমতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে।
  7. আপনি যদি কোন সরকারি কিংবা সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান পেয়ে থাকেন কিংবা আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন। তাহলে সেটি অবশ্যই উল্লেখ করে দিবেন।
  8. আপনার বর্তমান বাসস্থান সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করবেন। 
  9. বর্তমানে আপনার কতটুকু ভূমি বা জমি রয়েছে তা উল্লেখ করবেন।
  10. আপনার প্রতিবন্ধীর ধরন প্রদান করতে হবে।
  11. আপনার প্রতিবন্ধীর মাত্রা উল্লেখ করে দিতে হবে। 

মনে রাখবেন, এখানে আপনি যে তথ্য গুলো প্রদান করবেন। সে গুলো যেন কোন ভাবেই ভুল ইনফরমেশন না হয়।

কেননা আপনি যদি ভুল ইনফরমেশন প্রদান করেন। তাহলে কিন্তু আপনার আবেদন টি গ্রহণ যোগ্যতা পাবে না।

চতুর্থ ধাপঃ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ঠিকানা ও যোগযোগ নম্বর

উপরের কয়েক টি ধাপ ফলো করার পর চতুর্থ ধাপে আপনাকে আপনার ঠিকানা এবং যোগাযোগের নম্বর ইত্যাদি প্রদান করতে হবে।

যেমন, আপনি কোন জেলায় অবস্থান করছেন, আপনার বিভাগ কি, থানা কি, কোন ইউনিয়নে আছেন এই যাবতীয় তথ্য গুলো দিতে হবে। 

তবে সবার নিচে আপনি আপনার মোবাইল নম্বর দেওয়ার একটি অপশন দেখতে পারবেন। এখানে আপনি আপনার সেই মোবাইল নম্বর টি দিবেন।

যে মোবাইল নম্বরে বিকাশ, নগদ এর মত মোবাইল ব্যাংকিং চালু করা আছে। এবং সবশেষে যদি আপনার একটি ইমেইল এড্রেস থাকে। তাহলে আপনি সেটি প্রদান করবেন। 

আর তারপরে আপনাকে আপনার অনলাইন আবেদন টি সাবমিট করতে হবে। কিন্তু যখন আপনি আপনার আবেদন টি সাবমিট করবেন।

তখন অবশ্যই পুনরায় আপনার প্রদান করা তথ্য গুলো কে যাচাই বাছাই করবেন। কেননা এখানে একবার তথ্য প্রদান করার পরে পরবর্তী সময়ে সে গুলো আর এডিট করা সম্ভব হয় না।

পঞ্চম ধাপঃ আবেদন কপি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করুন

উপরে উল্লেখিত ধাপ গুলো ফলো করার পর যখন আপনি আপনার প্রতিবন্ধী ভাতা অনলাইন আবেদন করবেন। তারপরে আপনাকে সেই প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন ফরম ডাউনলোড করে নিতে হবে।

আর আপনি যখন সেই আবেদন কপি ডাউনলোড করবেন। তখন সেটি পিডিএফ ফাইল এর মধ্যে ডাউনলোড হবে। এবার আপনাকে সেই প্রতিবন্ধী আবেদন ফরম পিডিএফ ফাইল টি প্রিন্ট করতে হবে।

অথবা আপনি চাইলে সবার নিচের অপশনে থাকা প্রিন্ট নামক অপশনে  ক্লিক করার সাথে সাথেই সেটি আপনি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদনের শর্তাবলী

আমি আপনাদের একটা কথা বলে রাখি। সেই কথাটি হল, উপরেই আমি বলেছি যে যারা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রকারের অনুদান কিংবা ভাতা পাচ্ছেন।

তাদের প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করার প্রয়োজন নেই। কেননা বর্তমান সময়ে আমাদের মধ্যে  এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা বিভিন্ন ধরনের ভাতা পান। যেমন,

  1. বিধবা ভাতা, 
  2. বয়স্ক ভাতা, 
  3. হিজড়া ভাতা,
  4. বেদের জনগোষ্ঠী শিক্ষা  উপবৃত্তি,
  5. শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষা উপবৃদ্ধি,
  6. চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের ভাতা,
  7. বেদে জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন ধরনের ভাতা, 

মূলত আপনি যদি উপরোক্ত ভাতা গুলো ইতিমধ্যেই পেয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে আর নতুন করে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করার প্রয়োজন পড়বে না।

এবং আপনি যদি এই সকল ভাতার আওতাভুক্ত থাকার পরেও পুনরায় প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করেন। তাহলে আপনার আবেদন টি গ্রহণ করা হবেনা।

Q: প্রতিবন্ধী ভাতা কিভাবে পাব?

A: আপনি যদি একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হয়ে থাকেন। এবং আপনি যদি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য যোগ্য ব্যক্তি হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

এবং সেই আবেদন কপি সমাজ সেবা কার্যালয় এ জমা দিতে হবে। আর তারপরে আপনি বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনার প্রতিবন্ধী ভাতা নিতে পারবেন। 

Q: প্রতিবন্ধী ভাতা কত টাকা 2023

A: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে প্রশ্নটি আছে সেটি হল। প্রতিবন্ধী ভাতা কত টাকা পাওয়া যায়। তো যখন আপনার প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন গ্রহণ করা হবে।

তখন আপনি প্রতি ৩ মাস পর ৮৫০ টাকা করে পাবেন। এবং পরবর্তী সময়ে এই টাকার পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। 

Q: প্রতিবন্ধী ভাতা কয় মাস পর পর দেয়?

A: প্রতিবন্ধী ভাতা মূলত তিন মাস পর পর প্রদান করা হয়। আর এই প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা গুলো আপনি তিন মাস পর পর আপনার মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পেয়ে যাবেন।

যেমন, বিকাশ কিংবা নগদ এর মধ্যে অটোমেটিক ভাবে আপনার প্রতিবন্ধী ভাতা চলে আসবে।

প্রতিবন্ধি ভাতা নিয়ে আমাদের শেষকথা

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল টি তাদের জন্য অনেক হেল্পফুল হবে। যারা মূলত প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন।

কারণ আজকে আমি আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ দেখিয়ে দিয়েছি যে, কিভাবে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য অনলাইন আবেদন করতে হয়।  

তো আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো এই ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে থাকি। যদি আপনি সেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো খুব সহজ ভাষায় জানতে চান।

তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। সেই সাথে আমাদের লেখা আর্টিকেল গুলো সম্পর্কে যদি আপনার কোন ধরনের মতামত কিংবা অভিযোগ থাকে।

তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top