সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ২০২৪ | সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা ও আবেদনের নিয়ম

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ২০২৪ : আপনি কি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান? জেনে নিন সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা।

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ২০২৪ | সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা ও আবেদনের নিয়ম
সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা ও আবেদনের নিয়ম

বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে? (Singapore Work Permit Visa). বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট দেখুন।

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত দেশের বাইরে কাজের সন্ধান করে থাকেন। তো আপনি যদি দেশের বাইরে কাজ করতে চান।

তাহলে অবশ্যই সিঙ্গাপুর হবে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি দেশ। যেখানে আপনি আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। তবে আপনি যদি সিঙ্গাপুরে কাজ করার জন্য যেতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। যেমন, সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে কত টাকা লাগে।

সেই সাথে সিঙ্গাপুর যেতে কত বছর বয়স লাগে। এর পাশাপাশি আপনি যদি কাজের ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুর যেতে চান।

তাহলে আপনার নিকট কি কি থাকতে হবে। এই যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনার পরিস্কার ধারণা থাকা উচিত।

মূলত আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাকে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সম্পর্কে যে সকল বিষয় রয়েছে।

তার প্রতিটি বিষয় কে আজকে আমি ধাপে ধাপে আলোচনা করব। তো আপনি যদি একান্ত ভাবেই সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান।

আপনি আরোও দেখুন…

তাহলে অবশ্যই আপনাকে আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। এবং আমি যথাযথ চেষ্টা করব এই যাবতীয় বিষয় গুলো কে খুব সহজ ভাবে উপস্থাপন করার।

তাহলে আর দেরি না করে চলুন সরাসরি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সম্পর্কে বিশদ ভাবে জেনে নেওয়া যাক। যাতে করে আপনার এই রিলেটেড কোন কিছু অজানা না থাকে।

Table of Contents

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা | Singapore Work Permit Visa

সবার শুরুতেই আপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আর সেটি হল বর্তমান সময়ে সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন ধরনের কাজের ভিসা পাওয়া যায়।

তবে আপনি আসলে কোন ধরনের সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পাবেন। সে সম্পর্কে অবশ্যই আপনার পূর্ব ধারণা থাকা উচিত।

সেজন্য এবার আমি সকল ধরনের সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা গুলো কে নিয়ে এবার আলোচনা করব। যেন আপনার এই বিষয় টি সম্পর্কে একবারে পরিষ্কার ধারণা থাকে।

  1. ব্যক্তিগত কর্মসংস্থান পাস: যে ব্যক্তিরা মূলত উচ্চ উপার্জনকারী পেশার সাথে যুক্ত আছে। অথবা ইতিমধ্যে বিদেশি কোন পেশাদার কর্মসংস্থানের সাথে যুক্ত।
  2. এস পাস: মধ্যম শ্রেণীর দক্ষ কর্মী, যাদের প্রতি মাসের আয় কমপক্ষে ২২০০ মার্কিন ডলার। সেই সাথে যে ব্যক্তিরা মূল্যায়নের মানদণ্ড পূরণ করে থাকে। 
  3. কর্মসংস্থান পাস: বিদেশে কোন পেশাদার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাপক যার প্রতি মাসের ইনকাম ৩৬০০ মার্কিন ডলার এবং যাদের গ্রহণযোগ্য যোগ্যতা আছে।
  4. ওয়ার্ক পারমিট: যারা মূলত বিদেশি গৃহকর্মী হিসেবে সিঙ্গাপুরে কাজ করে।
  5. এন্ট্রি পাস: যারা বিদেশি উদ্যোক্তা হিসেবে নতুন কোন ব্যবসা শুরু করতে চান। এবং সেই ব্যবসা টি পরিচালনা করতে চান।
  6. প্রশিক্ষণ কর্মসংস্থান পাস: বিদেশে কোন পেশাদারদের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা। সেই সাথে তাদের প্রতি মাসের ইনকাম ৩০০০ ডলার হয়ে থাকে।
  7. ওয়ার্ক হলিডে পাস: যারা মূলত অস্ট্রেলিয়ায় ছাত্র এবং যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর এর মধ্যে। আর তারা এক বছরের জন্য সিঙ্গাপুর দেশে কাজ করতে যান, কিংবা ছুটিতে থাকতে চান।
  8. প্রশিক্ষণ ওয়ার্ক পারমিট: প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ছাত্র যারা মূলত সিঙ্গাপুরে ৬ মাসের জন্য ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ নিতে চায়।
  9. ডিপেন্ডন্ট পাস: স্বামী অথবা স্ত্রী এবং যোগ্য এস পাস ধারকের সন্তান।
  10. দীর্ঘমেয়াদী ভিজিট পাস: প্রতিবন্ধী সন্তান, পিতা-মাতা, সাধারণ আইন জীবী কিংবা সৎ সন্তান যোগ্য কর্মসংস্থান পাস।

তো আপনি যদি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা এর ধরন গুলো সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে উক্ত বিষয় টি সম্পর্কে আমি উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

আপনি সেখান থেকে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার সকল ধরনের সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে?

যেহেতু আপনি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিতে চান। সেহেতু এবার আপনার মনে একটু প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে।

আর সেটি হলো যে, সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে। তো আপনার মনে যদি এ ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে এক কথায় উত্তর দিব।

যে, আপনি যদি সিঙ্গাপুর যেতে চান, তাহলে আপনার ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মতো প্রয়োজন পড়বে।

বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকের ভিসায় সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে । এর জন্য আপনাকে সেই কাজ গুলার প্রশিক্ষণ থাকতে হবে।

তবে একটা কথা বলে রাখা ভালো যে। আপনি যদি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার কাজের প্রতি দক্ষ হতে হবে।

সেই সাথে আপনার যথাযথ প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। তবে এর বাইরেও আপনি আধা দক্ষ শ্রমিক হিসাবে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।

যেমন, হোটেল ক্লিনার, কনস্ট্রাকশন, মেশিনারিজ সহ সেবামূলক কাজ এবং গৃহকর্মী কাজের জন্য সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।

সিঙ্গাপুর কাজের বেতন কত টাকা

আপনি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিয়ে তারপরে সিঙ্গাপুর যাবেন। তো সেখানে অবশ্যই আপনাকে কাজ করতে হবে। কিন্তু এই কাজ করার বিনিময়ে আপনি কত বেতন পাবেন। সে সম্পর্কে আপনার পূর্ব ধারণা থাকা উচিত।

কারণ সিঙ্গাপুর যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো টাকা ইনকাম করা। আর আপনি আসলে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সেটা সম্পর্কে আপনি যদি না জানেন তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনাকে বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে। তাই চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে সিঙ্গাপুর কাজের বেতন কত।

তো যখন আপনি সিঙ্গাপুরে প্রাথমিক ভাবে কাজ করবেন। তখন আপনার সর্বনিম্ন বেতন হবে 429 মার্কিন ডলার। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনি দেখতে পারবেন।

যে, এই প্রাথমিক বেতনের পরিমাণ আরো কম হয়। তবে প্রথম অবস্থায় বেতন কম প্রদান করলেও আপনাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে।

যে, আপনি যদি আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন। তাহলে আপনার এই বেতনের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে। হয়তোবা শুরুর দিকে আপনি ৪২৯ মার্কিন ডলার পাবেন।

কিন্তু পরবর্তীতে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাওয়ার পরে আপনি ৫০০ মার্কিন ডলার থেকে ৬০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত পাবেন।

সিঙ্গাপুর যেতে কত বছর বয়স লাগে?

যখন আপনি কাজ করার জন্য সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সংগ্রহ করবেন। তখন অবশ্যই আপনার বয়স খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কেননা আপনি যদি তাদের দেওয়া নির্ধারিত বয়স সম্পন্ন করতে না পারেন। তাহলে আপনি কোন ভাবেই সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন না।

তো এখন জানার বিষয় হলো যে, সিঙ্গাপুর যেতে কত বছর বয়স লাগে। আর আপনি যদি এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমি আপনাকে বলব।

যে, সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে অবশ্যই আপনার বয়স ১৮ বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 50 বছর এর মধ্যে হতে হবে।

আর যদি আপনার বয়স এর মধ্যে থাকে। তাহলে আপনি খুব সহজেই সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সংগ্রহ করে কাজ করার জন্য সিঙ্গাপুরে যেতে পারবেন।

সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে ?

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে, সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে। অর্থাৎ আপনি যখন সিঙ্গাপুর যাবেন। তখন আপনার কাছে বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। আর যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি সেই ডকুমেন্ট গুলো প্রদান করতে পারবেন।

ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি সিঙ্গাপুরে যেতে পারবেন না। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট গুলো হলো:

  1. প্রথমত অবশ্যই আপনার সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত যে কোন ব্যক্তির কাছ থেকে আমন্ত্রণ পত্র এর প্রয়োজন হবে।
  2. ভিসা করার জন্য যে ফি নির্ধারণ করা হয়। সেজন্য আপনাকে ৩০০ সিঙ্গাপুর ডলার দিতে হবে।
  3. আপনার ফ্লাইট এর তারিখ থেকে আরও কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদ আছে এমন একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে।
  4. অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট এর মধ্যে একটি খালি পাতা থাকতে হবে।
  5. গত তিন মাসের মধ্যে তোলা আপনার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি লাগবে। যার ব্যাকগ্রাউন্ড হবে সাদা রঙ্গের।

তো আপনি যদি কাজের জন্য সিঙ্গাপুর যেতে চান। তাহলে আপনার নিকট যে সকল ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে।

সেই ডকুমেন্ট গুলো আমি উপরে উল্লেখ করেছি। এবং অবশ্যই আপনি এই ডকুমেন্ট গুলো সংগ্রহ করার পরেই তারপরে সিঙ্গাপুর যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করবেন।

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ২০২৪ কারা পাবেন?

মূলত সবাই চাইলেই সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিয়ে যেতে পারবে না। বরং বেশ কিছু বিষয় নির্ভর করবে যে বিষয় গুলোর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিতে পারবে।

মূলত এবার আমি আপনাকে সেই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। আর আপনি এবার জেনে নিতে পারবেন যে, সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কারা পাবেন।

তো চলুন এবার তাহলে এই বিষয় টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

পেশাজীবি বা প্রফেশনাল ভিসা

যেসব ব্যক্তিরা যোগ্যতা সম্পন্ন  বৈদেশিক প্রফেশনাল ম্যানেজার কিংবা এক্সিউটিভ হিসেবে নিযুক্ত আছেন। এবং যাদের মাসিক ইনকাম কমপক্ষে ৩৩০০ সিঙ্গাপুরী ডলার এর সমান। সেই ব্যক্তিরা এন্ট্রি পাস ভিসা পাবে।

আবার যদি আপনি সিঙ্গাপুরে নতুন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে চান। সে ক্ষেত্রে আপনি পার্সোনালাইজ এমপ্লয়মেন্ট ভিসা পাবেন।

মূলত এই ধরনের ভিসা গুলো সাধারণত ডক্টর, ইঞ্জিনিয়ার কিংবা আইনজীবীর ক্ষেত্রে প্রদান করা হয়ে থাকে।

দক্ষ ও আধাদক্ষ কর্মীদের জন্য কাজের ভিসা

একজন দক্ষ এবং আধা দক্ষ কর্মীদের ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর এস পাস ভিসা প্রদান করা হয়। যে সকল কর্মীদের নূন্যতম মাসিক ইনকাম ২২০০ সিঙ্গাপুরী ডলার এর সমান।

এবং যারা প্রকৃতপক্ষে যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মী। এর পাশাপাশি আরো বিভিন্ন প্রকারের কর্মী রয়েছে। যেমন, হোটেল ক্লিনার, মেশিনারীজ কিংবা সেবামূলক কর্মীদের ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান করা হয়।

পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য ভিসা

যারা মূলত সিঙ্গাপুরের মধ্যে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে আছেন। সেই সাথে যাদের এমপ্লয়মেন্ট পাস এবং এস পাস ভিসা রয়েছে।

তাদের পরিবারের সদস্য যেমন, বউ। স্বামী অথবা ছেলে মেয়েদের ক্ষেত্রে শর্ত পূরণের মাধ্যমে ডিপেন্ডেন্ট ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে। সেই সাথে এই ধরনের ভিসা গুলো অনেক দীর্ঘমেয়াদী হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে।

স্টুডেন্ট ভিসা/উচ্চশিক্ষার জন্য ভিসা

বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী কিংবা প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ভিসার ব্যবস্থা করা আছে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি যে একজন শিক্ষার্থী তার যথাযথ ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে।

তাহলে আপনি শিক্ষার্থীদের জন্য ধার্য করা সিঙ্গাপুরের ভিসা পাবেন।

অন্যান্য পাস / ভিসা

মূলত সিঙ্গাপুরের ভিসার মধ্যে এমন একটি ভিসা রয়েছে যেটা অনেক স্বল্প মেয়াদী। অর্থাৎ এই ভিসার মেয়াদ শুধুমাত্র ৬০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে।

আর এই ধরনের ভিসা গুলো মূলত মিসেলেনিয়াস ওয়ার্ক ভিসার আওতায় পড়ে। যদি আপনি এই ধরনের সিঙ্গাপুরের ভিসা সংগ্রহ করতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে সিঙ্গাপুরের মধ্যে অবস্থানরত জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তাহলে আপনি এই ধরনের ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার জন্য কি কি জানতে হবে?

যখন আপনি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা এর জন্য যোগাযোগ করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে বেশ কিছু বিষয় জেনে নিতে হবে।

আর আপনি যদি এই বিষয় গুলো না জেনেই সিঙ্গাপুরে কাজের ভিসার মাধ্যমে কাজ করার জন্য সিঙ্গাপুর যান।

তার পরবর্তী সময়ে কিন্তু আপনাকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই অবশ্যই আপনি সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে যাবতীয় তথ্য গুলো বিস্তারিত ভাবে জেনে নিবেন।

আর আপনাকে আসলে কোন কোন বিষয় গুলো জেনে নিতে হবে। সেগুলো এবার আমি উল্লেখ করব। চলুন এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার জন্য কি কি জানতে হবে।

তো সর্বপ্রথম আপনাকে জেনে নিতে হবে যে আপনার ভিসার ধরন কি। সেই সাথে আপনি যখন সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার মাধ্যমে সিঙ্গাপুর যাবেন।

তখন আপনাকে যে কাজ দেয়া হবে, সেই কাজের বেসিক রেট কত। এর পাশাপাশি আপনি কি প্রতি বছর ফ্রি রিভিউ করার সুবিধা পাবেন কিনা।

সেটি অবশ্যই আগে থেকেই বিস্তারিত ভাবে জেনে নিবেন। এর পাশাপাশি একটা কথা না বললেই নয় যে। সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার মধ্যে কোন গোপন শর্ত আছে কিনা।

তা অবশ্যই পূর্বে থেকে ক্লিয়ার হয়ে নিবেন। কেননা যদি কোন শর্ত থাকে এবং আপনি যদি সেই শর্ত সম্পর্কে অবগত না হন। তাহলে কিন্তু পরে আপনাকে অনেক ঝামেলায় পড়তে হবে।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

সিঙ্গাপুরের ভিসা চেক করার নিয়ম

যদিও বা সিঙ্গাপুর ভিসা চেক করার নিয়ম গুলো নিয়ে আমি অন্য একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি।

আপনি চাইলে সেই আর্টিকেল এর মাধ্যমে খুব সহজ ভাবে সিঙ্গাপুরের ভিসা চেক করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

তবে আর্টিকেল লেখার স্বার্থে এবার আমি আপনাকে খুব স্বল্প আকারে সিঙ্গাপুরের ভিসা চেক করার নিয়ম গুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনি চাইলে নিচে উল্লেখিত নিয়ম গুলো মেনে সিঙ্গাপুরের ভিসা চেক করতে পারবেন।

প্রথমত আপনাকে (www.mom.gov.sg) এই ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। যখন আপনি উক্ত ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করবেন।

তখন আপনাকে Work Permit for Foreign Worker নামক অপশন এর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে।

এরপর আপনাকে পুনরায় Work Permit Validity Check via Work Permit এরমধ্যে ক্লিক করতে হবে। যখন আপনি উক্ত অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন।

তখন আপনাকে এটি টার্মস এন্ড কন্ডিশন দেওয়া হবে। এখানে আপনাকে I Agree তে ক্লিক দিতে হবে। সবশেষে আপনাকে Enquire তে ক্লিক করার পর যখন আপনি সাবমিট করবেন।

তখন আপনি সিঙ্গাপুরের ভিসা চেক করতে পারবেন।

বিদেশে কাজের ভিসা পেতে কি করবেন?

এবার অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে। আর সেই প্রশ্নটি হলো যে বিদেশে কাজের ভিসা পেতে কি করতে হবে।

তো আপনার মনেও যদি এ ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, আপনি ইউটিউব এর মধ্যে বিভিন্ন চ্যানেল দেখতে পারবেন।

যে চ্যানেল গুলো তে মূলত প্রতিনিয়ত বিদেশে কাজের ভিসা নিয়ে নতুন নতুন ভিডিও পাবলিশ করা হয়ে থাকে। আপনি চাইলে সেই ইউটিউব চ্যানেল গুলো থেকে বিদেশে কাজের ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য গুলো জেনে নিতে পারবেন।

আর আপনি যখন এই তথ্য গুলো সম্পর্কে জানবেন। তখন আপনাকে সেই দেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এর পাশাপাশি আপনি ফেসবুকের মধ্যে অনেক ধরনের গ্রুপ দেখতে পারবেন।

যে গ্রুপ গুলো তে বিদেশে কাজের জন্য প্রতিনিয়ত পোস্ট করা হয়। আপনি চাইলে সেই গ্রুপ গুলো থেকে নতুন নতুন আপডেট সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন করার নিয়ম

এতক্ষণ থেকে আপনি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সম্পর্কে বিভিন্ন প্রকার তথ্য জেনে নিতে পেরেছেন। তবে এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানতে হবে। সেটা হল যে, সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন করার নিয়ম গুলো কি কি।

তো আপনি যদি সিঙ্গাপুর ভিসার জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত কোন ব্যক্তির হাতে আমন্ত্রণ পত্র নিতে হবে।

এর পাশাপাশি আপনাকে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার জন্য ৩০০ সিঙ্গাপুরী ডলার প্রদান করতে হবে। যখন আপনি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার জন্য আবেদন করবেন।

তখন অবশ্যই আপনার নিকট বেশ কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। যে গুলো নিয়ে আমি উপরের আলোচনা তে বিস্তারিত বলেছি।

মূলত এইসব ডকুমেন্টস এবং উপরোক্ত কাজ গুলো করার মাধ্যমে আপনি সিঙ্গাপুর ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট

আমাদের মধ্যে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন। যারা মূলত বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট সম্পর্কে জানতে চায়। তো সেসব মানুষদের জন্য এবার আমি নিচের আলোচনায় বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের একটা লিস্ট প্রদান করব।

যেখান থেকে আপনি সকল ধরনের এজেন্ট সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন।

>> লেক্সাস টুরস এন্ড ট্রাভেলস,বাংলামটর,ঢাকা।

ফোন: ৮৬১৩১৮৪

>> সাইমন ওভারসিস,গুলশান,ঢাকা।

ফোন : ৯৮৮১৪০৮

>> ট্যালন কর্পোরেশন লিমিটেড, গুলশান,ঢাকা।

ফোন : ৯৮৯৪০২৮

>> ভিক্টরি ট্রাভেলস লিমিটেড, মতিঝিল,ঢাকা

ফোন: ৯৫৫০৯১৫

>> নোভোএয়ার লিমিটেড, বনানী,ঢাকা।

ফোন: ০১৯৭৮৪৪৩৭১৭

>> আন্তর্জাতিক ভ্রমণ কর্পোরেশন, গুলশান,ঢাকা।

ফোন: ৯৮৮৫৪৭৯-৮০,৯৮৪২৬৪৫

>> ইউনিয়ন ট্যুরস এন্ড ট্রাভেল লিমিটেড, গুলশান,ঢাকা।

ফোন: ৯৮৫৪৫৬৬-৭

>> ডিসকভারি টুরস অ্যান্ড লজিস্টিক,বনানী,ঢাকা।

ফোন : ৯৮৬৩৩৪৪,৯৮২১৮২০

>> সিল্ক ওয়েস্ট সার্ভিসেস লিমিটেড, বনানী,ঢাকা।

ফোন : ৯৮৮৮২১১-২০

>> পার্কে ওয়ে হাসপাতাল সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড, গুলশান,টাকা।

ফোন: ০১৭৩৬০০০০০/ ৯৮৫০৪২২

উপরের আলোচনা তে আপনি বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের তালিকা দেখতে পাচ্ছেন।

মূলত আপনি তালিকায় থেকে যে ফোন নাম্বার গুলো রয়েছে। আপনি সে গুলো তে সরাসরি কল করে যোগাযোগ করতে পারবেন।

এবং আপনি আপনার সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী

আপনি যদি একজন সাধারণ ব্যক্তি হিসেবে সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু শর্তাবলী মানতে হবে।

চলুন এবার তাহলে সেই শর্তাবলী গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  1. যে ব্যক্তি আবেদন করবে সেই আবেদনকারী ব্যক্তির অবশ্যই একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। 
  2. উক্ত আবেদনকারী ব্যক্তির বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে। 
  3. সেই ব্যক্তি শুধুমাত্র কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যে ওয়ার্ক পারমিট প্রদান করা হবে। সে শুধুমাত্র সেই কাজের জন্যই ধার্য করা হবে। 
  4. সেই সাথে একজন কর্মীর যে সকল নিয়ম মানা দরকার। তার প্রত্যেক টি নিয়ম মেনে চলতে হবে। 
  5. কর্মী হিসেবে একজন ব্যক্তি কখনোই সিঙ্গাপুরে বসবাসরত অবস্থায় অন্য কোন ব্যবসার সাথে জড়িত হতে পারবে না। এবং নিজেও কোন ব্যবসা শুরু করতে পারবে না। 
  6. জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া সিঙ্গাপুরে বিয়ে করতে পারবে না। 
  7. চাকরির শুরুতে যে ঠিকানা প্রদান করা হবে। আপনাকে সেই ঠিকানায় যোগাযোগ করতে হবে। 
  8. আপনাকে সর্বদাই মূল ওয়ার্ক পারমিট বহন করতে হবে।

তো আপনি যদি কাজের জন্য সিঙ্গাপুরে যেতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যে নিয়ম গুলো আমি উপরে উল্লেখ করেছি। আশা করি এই বিষয় টি সম্পর্কে আপনি একবারে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

আপনার জন্য আরোও লেখা আছে…

সিঙ্গাপুর ভিসা নিয়ে কিছু কথা

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিয়ে আজকে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। মূলত আপনি যদি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সম্পর্কে কোন কিছু না জেনে থাকেন।

তাহলে আজকের এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। তবে আলোচিত এই আলোচনা গুলোর পরেও যদি আপনার সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সম্পর্কিত কোন অজানা বিষয় থাকে।

তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top