বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম ২০২৩

বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন : যদি আপনার বাড়িতে কোনো বয়স্ক মানুষ থাকে। তাহলে আপনি সেই মানুষের জন্য বয়স্ক ভাতা করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম
বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম

তবে তার আগে আপনাকে এই বয়স্ক ভাতা সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানতে হবে। যেমন, কিভাবে বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে হয়, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার শর্ত গুলো কি কি ইত্যাদি।

আর আজ আমি আপনাকে এই বয়স্ক ভাতার যাবতীয় বিষয় গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিবো। যদি আপনি সেই অজানা বিষয় গুলো সম্পর্কে বিষদভাবে জানতে চান। তাহলে আজকের পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।

তাহলে বয়স্ক ভাতার আবেদন ফরম ডাউনলোড, বয়স্ক ভাতা আবেদন ফরম সহ জানতে পারবেন।

বয়স্ক ভাতা কি?

সবার শুরুতে আমাদের জানতে হবে যে, বয়স্ক ভাতা কি। তো এটি হলো বাংলাদেশ সরকারের বৃহৎ একটি কর্মসূচী। যেখানে বাংলাদেশের যে সকল নাগরিক বয়স্ক, দুস্থ এবং কর্মহীন।

তাদের কে আর্থিক ভাবে সাহায্য সহযোগীতা করা। যাতে করে সেই মানুষ গুলো তাদের মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত না হয়। আর এই বিশেষ সহযোগীতার কার্যক্রম কে বলা হয়, বয়স্ক ভাতা। 

আপনি আরোও জানতে পারেন…

তবে সবাই কিন্তু এই বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য নয়। বরং এই সহযোগীতা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিশেষ কিছু নির্দেশনাবলী আছে।

এবং উক্ত বয়স্ক ভাতার জন্য বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। আর যখন আপনি সেই নির্দেশনাবলী গুলো মেনে চলবেন। তখনি আপনি বাংলাদেশ সরকার এর বয়স্ক ভাতার সুবিধা পাবেন।

বাংলাদেশে বয়স্ক ভাতা চালু হয় কত সাল থেকে?

বয়স্ক ভাতা কি সেটি আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পারলাম। তো এবার আমাদের এই বয়স্ক ভাতা সম্পর্কে আরো একটি বিষয় জেনে নিতে হবে।

সেটি হলো, আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে কখন থেকে বয়স্ক ভাতা চালু হয়েছে। সে সম্পর্কে আমাদের সঠিক তথ্য জেনে নিতে হবে।

তো আমাদের বাংলাদেশ এর মধ্যে সর্বপ্রথম বয়স্ক ভাতা চালু হয়েছিলো, ১৯৯৮ সাল থেকে। কেননা, আমাদের দেশের মধ্যে যে সকল বৃদ্ধ ও নিন্ম আয়ের মানুষ আছে।

তারা যেন তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। এবং তারাও যেন সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করতে পারে। সেই লক্ষ্যে প্রায় ১৯৯৭ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বিশেষ এই কর্মসূচীর উদ্যেগ নেওয়া হয়েছিলো।

তবে আজকের দিনে আমরা যে বয়স্ক ভাতার কার্যক্রম গুলো দেখতে পাচ্ছি। সবার শুরুতে এই ধরনের কার্যক্রম গুলো ভিন্ন নিয়মে পরিচালনা করা হতো।

কেননা, সবার শুরুতে যখন বয়স্ক ভাতার কার্যক্রম চলতো। তখন শুধুমাত্র প্রতি ইউনিয়ন থেকে মোট ৫ জন মহিলা ও মোট ৫ জন পুরুষকে এই বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হতো।

আর সেই সময়ে বয়স্ক ভাতার জন্য নির্ধারিত ব্যক্তিদের প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে প্রদান করা হতো। আর সময়ের সাথে সাথে যেমন সবকিছুর পরিবর্তন হয়।

ঠিক তেমনি ভাবে আগের দিনের তুলনায় বর্তমান বয়স্ক ভাতার মধ্যেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।

বাংলাদেশে বয়স্ক ভাতা কত টাকা ২০২৩

তো যারা আসলে ২০২৩ সালে বয়স্ক ভাতার জন্য নির্ধারিত হবেন। তাদের বর্তমান সময়ে বয়স্ক ভাতা হিসেবে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে প্রদান করা হবে।

তবে এখন হয়তবা আপনার কাছে মনে হতে পারে যে, এই টাকার পরিমান তো খুবই কম। হুমম, আপনার ধারনা সম্পূর্ণ সঠিক। কিন্তুু আগের তুলনায় এই টাকার পরিমান অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কেননা, আপনি যদি আগেকার দিন গুলোর কথা চিন্তা করে দেখেন। তাহলে লক্ষ্য করতে পারবেন যে, প্রথম দিকে কিন্তুু মাত্র ১০০ টাকা করে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হতো। আর সময়ের সাথে সাথে এই ভাতার পরিমান আরো বৃদ্ধি করা হবে।

বয়স্ক ভাতা কত বছর বয়সে দেওয়া হয়?

আমরা সকলেই জানি যে, বাংলাদেশ সরকারের বয়স্ক ভাতার মধ্যে নির্দিষ্ট বয়সী লোকদের নির্ধারিত করা হয়ে থাকে।

তবে যদি আপনার সেই বয়স হয়, কিংবা আপনার পরিবারে যদি সেই বয়সী বৃদ্ধ মানুষ থাকে। তাহলে আপনি সেই মানুষের জন্য বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে পারবেন।

তবে আপনি যদি কোনো পুরুষের বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে চান। তাহলে তার বয়স অবশ্যই ৬৫ বছর হতে হবে। এবং মহিলাদের জন্য কমপক্ষে ৬৪ বছর হতে হবে।

তাহলে এই বয়সী মানুষদের জন্য বয়স্ক ভাতার আবেদন করা যাবে। এবং আবেদন করলে সেই মানুষ গুলো বিশেষ বিবেচনায় বয়স্ক ভাতার সুবিধা পাবে।

বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা ও শর্তাবলী

তো উপরের আলোচনা থেকে আমরা বয়স্ক ভাতা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে পেরেছি। কিন্তুু এই বয়স্ক ভাতা পেতে গেলে একজন মানুষ কে কোন কোন শর্ত মেনে চলতে হবে। উক্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে তেমন কিছু বলা হয়নি।

কিন্তু আপনি যদি বয়স্ক ভাতা করতে চান। তাহলে আপনাকে যে সকল সরকারি শর্ত মানতে হবে। এবং এই বয়স্ক ভাতা পেতে হলে কি কি যোগ্যতা লাগবে।

এবার আমি আপনাকে ধাপে ধাপে সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দিবো। যেমন,

  1. যে ব্যক্তি বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করবে। সেই ব্যক্তির বার্ষিক গড় আয় এর পরিমান অবশ্যই ১০ হাজার টাকার কম হতে হবে। 
  2. পুরুষ ব্যক্তি বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে হলে। উক্ত ব্যক্তির বয়স কমপক্ষে ৬৫ হতে হবে। অথবা তার থেকে বেশি বয়স হতে হবে। 
  3. যদি কোনো মহিলা ব্যক্তি বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে চায়। তাহলে সেই ব্যক্তির বয়স কমপক্ষে ৬৪ বছর বয়স হতে হবে। 
  4. বয়স নির্ধারন করার জন্য সেই ব্যক্তিদের জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। 
  5. তবে এই বয়স প্রমানে যদি কোনো ধরনের বিলম্ব বা সমস্যা হয়। তাহলে কর্তৃপক্ষের সিন্ধান্ত কে চুড়ান্ত সিন্ধান্ত হিসেবে ধরা হবে। 
  6. বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদনকারী ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট স্থানের বাসিন্দা হতে হবে। এবং তা প্রমান করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করতে হবে। 
  7. আবেদনকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশ এর স্থায়ী নাগরিক হতে হবে। 

তো যারা বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে চান। সেই সকল মানুষদের কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে। এবং তাদের কি কি শর্ত মানতে হবে।

সেগুলো উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আর যখন আপনার বা আপনার পরিবারে থাকা বয়স্ক ব্যক্তিদের এই যোগ্যতা থাকবে। তখন আপনি তাদের জন্য বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে পারবেন।

বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির অযোগ্যতা

একজন ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতার জন্য কি কি নির্দেশ মানতে হবে। এবং সেই ব্যক্তির কি কি যোগ্যতার দরকার হবে।

উপরে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তবে এবার আমি আপনাকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়ার চেষ্টা করবো। 

সেটি হলো, এমন কোন বিষয় রয়েছে। যেগুলোর জন্য বয়স্ক ভাতার আবেদনকারীদের অযোগ্য বলে ধরে নেওয়া হবে। তা আমি নিচে উল্লেখ করে দিলাম। যেমন,

  1. আপনি যদি কোনো ধরনের সরকারি চাকরির পেশনভুক্ত কর্মচারী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে এই বয়স্ক ভাতার জন্য নির্বাচিত করা হবেনা। 
  2. অথবা আপনি যদি আগে থেকেই কোনো সরকারি পেনশন / ভাতা / অনুদান পেয়ে থাকেন। তাহলেও আপনি বয়স্ক ভাতার সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবেন। 
  3. আপনি যদি কোনো ধরনের সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক অনুদান বা ভাতা পেয়ে থাকেন।
  4. অথবা কোনো মহিলা যদি ভিজিডি কার্ডধারী হয়ে থাকে। তাহলে সেই মহিলা এই ধরনের বয়স্ক ভাতার আওতাভুক্ত হবেনা।

মূলত একজন ব্যক্তি বয়স্ক হওয়ার পরেও। কখন সেই ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতার আওতাভুক্ত করা হবেনা। সেই বিষয় গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

তো আপনি যদি উপরে বিষয় গুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট না থাকেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

অনলাইনে বয়স্ক ভাতার আবেদন করার নিয়ম

এবার আমরা মূল বিষয়টি সম্পর্কে জানবো। অথ্যাৎ, যখন আপনার বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করার সকল যোগ্যতা থাকবে।

তখন আপনি কিভাবে অনলাইন থেকে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করবেন। এবার আমি আপনাকে সেই পদ্ধতি গুলো ধাপে ধাপে দেখিয়ে দিবো।

আর আপনি যদি নিচের পদ্ধতি গুলো সঠিক ভাবে ফলো করতে পারেন। তাহলে আপনিও খুব সহজেই বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যেমন,

  1. সবার প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ সমাজসেবা অধিদপ্তর এর মূল ওয়েবসাইট এর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। 
  2. তারপর আপনাকে যাবতীয় তথ্য গুলো সঠিক ভাবে প্রদান করতে হবে। যেমন, ভোটার আইডি কার্ড, জন্ম তারিখ ইত্যাদি। 
  3. এরপর সেই অনলাইন আবেদন কপিটি প্রিন্ট করে নিতে হবে। 
  4. এবং সেই প্রিন্ট করা কপিটি আপনার ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান এর কাছে জমা দিতে হবে। এবং চেয়ারম্যান এর স্বাক্ষর নিতে হবে। 
  5. তারপর আপনাকে সেই অনলাইন আবেদন কপি আপনার এলাকার পৌরসভা কাউন্সিল এর থেকেও স্বাক্ষর নিতে হবে। 
  6. সবশেষে সেই কাগজ পত্র গুলো সমাজসেবা অধিদপ্তর এর অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে।

তো আপনি যদি উপরের ধাপ গুলো সঠিক ভাবে ফলো করতে পারেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

কিন্তুু এই অনলাইন আবেদন করার সময় আপনাকে আরো বেশ কিছু কাজ করতে হবে। যেগুলো নিচে স্টেপ বাই স্টেপ দেখিয়ে দেওয়া হলো।

প্রথম ধাপঃ সবার প্রথমে আপনি এই লিংক এর মধ্যে ক্লিক করুন। এটি হলো বাংলাদেশ সমাজসেবা অধিদপ্তর এর মূল ওয়েবসাইট।

এবং উক্ত অপশন এর মধ্যে ক্লিক করলে আপনি ঠিক নিচের মতো একটি নতুন পেজ দেখতে পারবেন।

যেখানে “নির্বাচন করুন” নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। এবং সেখান থেকে আপনাকে “বয়স্ক ভাতা” সিলেক্ট করে দিতে হবে। 

boyosko vata online application 1 boyosko vata online application 1

দ্বিতীয় ধাপঃ উপরের কাজ গুলোর করার পর আপনাকে আবার একটি নতুন পেজে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আপনাকে আবেনদকারী প্রার্থীর বয়স প্রমান করতে হবে।

আর সেজন্য আপনাকে সেই ব্যক্তির ভোটার আইডি কার্ড এর নম্বর প্রদান করতে হবে। এবং তার পাশের ফাঁকা বক্সে আপনাকে জন্ম তারিখ উল্লেখ করে দিতে হবে।

boyosko vata online application 2 boyosko vata online application 2

আর সবশেষে আপনাকে ”যাচাই করুন” নামক অপশনে ক্লিক করতে হবে। 

তৃতীয় ধাপঃ এর পরবর্তী ধাপে যখন আপনি নতুন একটি পেজে প্রবেশ করবেন। তখন আবেদনকারী সেই ব্যক্তির অনেক তথ্য গুলো অটোমেটিক ভাবে পূরণ হতে দেখবেন।

বয়স্ক ভাতা আবেদন ফরম
বয়স্ক ভাতা আবেদন ফরম

তবে এখানে থাকা সব তথ্য গুলো অটোমেটিক ভাবে পূরণ হবেনা। আর যেগুলো পূরণ হবেনা, সেগুলো আপনাকে নিজে থেকে পূরণ করে দিতে হবে। 

চতুর্থ ধাপঃ তো যখন আপনি উপরে দেখানো ধাপ গুলো সঠিক ভাবে পূরণ করবেন। তারপর আপনাকে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন কারী ব্যক্তির আরো কিছু ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে।

বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম
বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন করার নিয়ম

মনে রাখবেন, এই তথ্য গুলো অতিরিক্ত হলেও। এগুলো কিন্তুু বয়স্ক ভাতার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই তথ্য গুলো হলো,

  1. আবেদনকারী ব্যক্তির মোট জমির পরিমান,
  2. সেই ব্যক্তির বাসস্থান এর যাবতীয় তথ্য,
  3. কোনো ধরনের সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক ভাতার তথ্য,
  4. স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিস্তারিত কিংবা কর্মক্ষমতার তথ্য,
  5. সেই ব্যক্তির বার্ষিক আয় এর পরিমান,
  6. আবেদনকারী ব্যক্তির পেশার সঠিক তথ্য,
  7. সেই ব্যক্তির পরিবারে সদস্য সংখ্যা,
  8. বয়স্ক ভাতার জন্য আবেনদকারী ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা,
  9. বৈবাহিক অবস্থা,

উপরে আপনি যে তথ্য গুলো দেখতে পাচ্ছেন। সেই তথ্য গুলো বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করার সময় প্রদান করতে হবে। এবং তারপর আপনাকে পরবর্তী ধাপ গুলো ফলো করতে হবে।

পঞ্চম ধাপঃ এটি হলো, বয়স্ক ভাতার জন্য তথ্য প্রদান করার সর্বশেষ ধাপ। তো এবার আপনাকে সেই ব্যক্তির যোগযোগ করার তথ্য দিতে হবে।

যেমন, আবেদনকারী ব্যক্তির মোবাইল নম্বর, ইমেইল এড্রেস (যদি থাকে) এগুলো প্রদান করতে হবে। এবং সবশেষে আপনাকে সাবমিট বাটন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।

অনলাইনে বয়স্ক ভাতার আবেদন
অনলাইনে বয়স্ক ভাতার আবেদন

তবে যখন আপনি সাবমিট বাটন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তার আগে পুনরায় সেই ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য গুলো চেক করে নিবেন।

কারণ আপনি যদি সেখানে ভুল তথ্য প্রদান করেন। তাহলে কিন্তুু সেই ব্যক্তির বয়স্ক ভাতার অনুমোদন প্রদান করা হবেনা।

এবং যখন আপনি আবেদন সাবমিট করবেন। তারপর আপনাকে সেই আবেদন কপিটি ডাউনলোড করে ‍নিতে হবে।

বয়স্ক ভাতার আবেদন ফরম ডাউনলোড
বয়স্ক ভাতার আবেদন ফরম ডাউনলোড

তো যখন আপনি সেটি ডাউনলোড করবেন। তারপর আপনার কাছে সেটি পিডিএফ ফাইল আকারে ডাউনলোড হবে। এবং আপনাকে তখন সেটি প্রিন্ট করে নিতে হবে।

সেটি প্রিন্ট করে নেওয়ার পর আপনাকে চেয়ারম্যান / পৌরসভা কাউন্সিল এর স্বাক্ষর নিয়ে। সেটি সমাজ সেবা অধিদপ্তর এর অফিসে জমা দিতে হবে।

আর যখন আপনি সেই কাগজ পত্র গুলো সমাজ সেবা অধিদপ্তর এর অফিসে জমা দিবেন। তারপর তারা আপনার আবেদন যাচাই করা শুরু করবে।

এবং যদি তাদের কাছে গ্রহনযোগ্য মনে হয়। তারপর থেকে সেই ব্যক্তি বয়স্ক ভাতার জন্য নির্ধারিত হবে।

বয়স্ক ভাতা আবেদন ফরম pdf ডাউনলোড

আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, বয়স্ক ভাতার অনলাইন আবেদন পিডিএফ কিভাবে ডাউনলোড করবো। তো এটা খুব সহজ একটি কাজ।

কারণ, যখন আপনি কোনো ব্যক্তির বয়স্ক ভাতার সকল তথ্য দিয়ে অনলাইনে আবেদন করবেন। তখন আপনি সেখানে উক্ত অনলাইন কপিটি ডাউনলোড করতে পারবেন। এই কাজটি তেমন একটা কঠিন কিছুনা।

বয়স্ক ভাতা আবেদন যাচাই করার পদ্ধতি

সত্যি বলতে যখন কোনো ব্যক্তি বয়স্ক ভাতার জন্য নতুন আবেদন করে। তখন সমাজসেবা অফিস এর নির্দিষ্ট কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিষয় যাচাই বাচাই করে।

এবং এই যাবতীয় বিষয় গুলো যাচাই করার পর যদি তাদের কাছে আপনার আবেদন সঠিক মনে হয়। তাহলেই আপনাকে বয়স্ক ভাতার আওতায় যুক্ত করা হবে। আর যাচাই করার সেই বিষয় গুলো হলো.

  1. যে প্রার্থী আবেদন করেছে তার জাতীয়তা,
  2. উক্ত ব্যক্তির বয়স,
  3. সেই ব্যক্তির স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা,
  4. আর্থিক অবস্থা,
  5. জমির পরিমান,
  6. সামাজিক অবস্থা,

তো এই যাবতীয় বিষয় গুলো যথাযথ ভাবে যাচাই করার পর। একজন ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতার জন্য নির্ধারন করা হয়ে থাকে।

আর আপনার প্রদান করা তথ্য গুলো যদি সঠিক থাকে। তাহলে আপনিও এই বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবেন।

বয়স্ক ভাতা আবেদনের শেষ তারিখ

আসলে এই বয়স্ক ভাতার কার্যক্রম কখন শুরু হবে এবং কখন শেষ হবে। সেটি মূলত সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে নোটিশ এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়।

তাই আপনি যদি বয়স্ক ভাতা করার সর্বশেষ তারিখ সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আপনাকে সেই নোটিশ সংগ্রহ করতে হবে। তাহলে আপনি এই বিষয়ে সঠিক তথ্য গুলো জানতে পারবেন।

বয়স্ক ভাতা মোবাইল ব্যাংকিং লাগবে?

আগের দিন গুলোতে যারা বয়স্ক ভাতা নিতো। তারা তাদের এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরাসরি সেই ভাতা সংগ্রহ করতে পারতো।

কিন্তুু এতে করে সেই সকল মানুষদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হতো। তাই সরকার এই সিন্ধান্তের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।

কেননা, এখন যারা বয়স্ক ভাতার জন্য নির্বাচিত হবে। তাদের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ভাতার টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

আর সেজন্য বয়স্ক ভাতা পাওয়া ব্যাক্তিদের অবশ্যই যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থাকতে হবে। যেমন, বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি।

বয়স্ক ভাতা নিয়ে আমাদের শেষকথা

প্রিয় পাঠক, আপনারা যারা বয়স্ক ভাতা কি এবং কিভাবে বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে হয় তা জানতে চেয়েছেন।

তাদের জন্য আজকের এই লেখাটি অনেক হেল্পফুল হবে। কারণ, আজকে আমি এই বিষয় গুলো নিয়ে বিষদভাবে আলোচনা করেছি।

তারপরও যদি আপনার বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে কোনো ধরনের সমস্যা হয়। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আমি যথাযথ চেষ্টা করবো আপনার সমস্যার সমাধান করার জন্য।

আর আপনি যদি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো খুব সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট এর মধ্যে নিয়মিত ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top