অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম ২০২২-২০২৩ করবর্ষ | ই রিটার্ন

আমরা অনেকেই মনে করি যে, অনলাইনে আয়কর রিটার্ণ দাখিলের পদ্ধতি গুলো অনেক কঠিন কিছু। তো যারা আসলে এমনটা মনে করেন, তাদের ধারনা সম্পূর্ণ ভুল।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম ২০২২-২০২৩ করবর্ষ | ই রিটার্ন
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম

কারণ, আজকে আমি আপনাদের খুব সহজ ভাবে দেখিয়ে দিবো যে, কিভাবে অনলাইনে আয়কর রিটার্ণ করতে হয়। 

তবে আপনি যদি সেই কাজটি খুব সহজে করতে চান। তাহলে আপনাকে আজকের পুরো লেখাটি মন দিয়ে পড়তে হবে।

তো আর দেরী না করে চলুন, সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক। 

Table of Contents

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় (২০২২-২০২৩ করবর্ষ)

আপনি যদি নিয়মিত একজন করদাতা হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার একটা বিষয় অবশ্যই জানা থাকবে। সেটি হলো, প্রতি বছর নভেম্বর মাস হলো, কর প্রদান করার মাস।

মূলত আপনাদের মতো যে সকল মানুষ করযোগ্য এর তালিকা তে রয়েছে। তারা সবাই নভেম্বর মাসেই কর প্রদান করে থাকে। 

তবে নভেম্বর মাসে কর প্রদান করা হলেও, যারা আসলে প্রথমবার কর প্রদান করবেন। তারা অবশ্যই চলতি বছরের জুন মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে আপনাদের ধার্যকৃত কর প্রদান করার চেস্টা করবেন।

আর আপনি যদি এই সময় এর মধ্যে কর প্রদান করেন। তাহলে আপনাকে কোনো ধরনের কর রিটার্ন দাখিল করার জন্য কোনো ধরনের জরিমানা প্রদান করতে হবেনা। 

রিটার্ন দাখিলের পূর্বে অবশ্যই যা করবেন

তো আপনি যখন আপনার রিটার্ন দাখিল করবেন। তখন আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর সেই বিষয় গুলো হলো,

  1. সবার আগে আপনাকে আয়কর নির্দেশিকা গুলো সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখতে হবে। 
  2. যদি আপনি গত বছর আয়কর প্রদান করেন। তাহলে সেই আয়কর প্রদান এর কপি নিজের সাথে রাখতে হবে। 
  3. আপনার যে বেতন বিবরনী / আয় বিবরনী / ব্যক্তিগত পারিবারিক ব্যয় এর হিসেব গুলো অবশ্যই নিজের সাথে রাখার চেস্টা করবেন। 
  4. যদি আপনি কম রেয়াত পেতে চান, তাহলে আপনার বিনিয়োগ এর তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে। 
  5. যদি আপনি কোনো বিষয় সম্পর্কে বুঝতে না পারেন। তাহলে অবশ্যই আপনি অভিজ্ঞ কোনো ব্যক্তির সহায়তা নিবেন। 

মূলত একজন ব্যক্তির রিটার্ন দাখিল করার পূর্বে যে সকল বিষয় কে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সেই বিষয় গুলো উপরে স্টেপ বাই স্টেপ উল্লেখ করা হয়েছে। এবং আপনি অবশ্যই এই বিষয় গুলো কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিবেন।

ই রিটার্ন সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম

যেহুতু আজকে আমরা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন করার পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে জানবো। সেহুতু অবশ্যই আপনাকে ই রিটার্ন সিস্টেম এর মধ্যে রেজিষ্ট্রেশন করে নিতে হবে।

আর আপনি যখন রেজিষ্ট্রেশন করবেন। তখন আপনার নিকট আপনার টিন নম্বর ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নতুন করে সাইন আপ করতে হবে। 

আর আপনি কিভাবে ই রিটার্ন সিস্টেম এর মধ্যে নতুন করে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন। সেই পদ্ধতি গুলো নিচে ধাপে ধাপে দেখিয়ে দেওয়া হলো। যেমন, 

ধাপঃ১- যদি আপনি ই রিটার্ন সিস্টেমে নতুন করে রেজিষ্ট্রেশন করতে চান। তাহলে আপনাকে তাদের ওয়েবসাইট এর মধ্যে প্রবেশ করতে হবে।

তো আপনি চাইলে গুগল থেকে সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন। নতুনবা আপনি এখানে ক্লিক করেও সরাসরি উক্ত ওয়েবসাইট এর মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন। 

  1. এবার সবার শুরুতে আপনি আপনার টিন নম্বর দেওয়ার একটি অপশন দেখতে পারবেন। আপনাকে সেই অপশনে টিন নম্বরটি বসিয়ে দিতে হবে। 
  2. তার ঠিক নিচে আপনি আপনার মোবাইল নম্বর দেওয়ার একটি অপশন পাবেন। সেখানে আপনার ব্যবহার করা সচল মোবাইল নম্বরটি বসিয়ে দিবেন। 
  3. সবশেষে আপনি একটা ক্যাপচা কোড দেখতে পারবেন। আপনাকে সেই কোড টি সঠিক ভাবে পূরন করতে হবে। 

উপরের যাবতীয় তথ্য গুলো দেওয়ার পরে আপনাকে ভেরিফাই নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। এবং তারপর আপনাকে পরবর্তী পেজে নিয়ে যাওয়া হবে। 

ধাপঃ২- তো এবার আপনার প্রদান করা মোবাইল নম্বর এর মধ্যে একটি ৬ ডিজিট এর কোড নম্বর যাবে। যে কোড টি আপনাকে প্রথম অপশনে প্রদান করতে হবে। তারপর আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড প্রদান করতে হবে। 

মনে রাখবেন, এখানে দুইটি বক্সের মধ্যে একই পাসওয়ার্ড প্রদান করবেন। এবং সবশেষে আপনাকে সাবমিট নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। এবং আপনার প্রদান করা পাসওয়ার্ড টি অবশ্যই শক্তশালী রাখার চেষ্টা করবেন। 

আর আপনি যদি উপরের কাজ গুলো সঠিক ভাবে করতে পারেন। তাহলে আপনি ই রিটার্ন সিস্টেম এর মধ্যে সফল ভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।

এবং রেজিষ্ট্রেশন করার পর আপনাকে পরবর্তী ধাপ গুলো ফলো করতে হবে।

আয়কর রিটার্ন দাখিলের নিয়ম ২০২২-২০২৩

দেখুন আমি আলোচনার শুরুতে আপনাকে একটা কথা বলেছি। সেটি হলো, আপনি যদি একজন করযোগ্য ব্যক্তি হয়ে থাকেন।

তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রতি বছর এর নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। কিন্তুু নতুনদের জন্য কিছুটা সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। 

কারণ, আপনি যদি প্রথমবার আয়কর প্রদান করেন। তাহলে আপনাকে পরের বছর এর জুন মাস পর্যন্ত সময় প্রদান করা হবে।

এবং প্রথমবার হিসেবে আপনাকে বিলম্বে কর প্রদান করার জন্য কোনো ধরনের জরিমানা দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। 

তবে এই রিটার্ন দাখিল করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু ধাপ ফলো করতে হবে। আর সেগুলো নিচে স্টেপ বাই স্টেপ দেখিয়ে দেওয়া হলো।

ধাপ ১ঃ ই রিটার্ন সিস্টেমে সাইন ইন

সবার প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর মূল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। আর সে জন্য আপনি এখানে ক্লিক করুন।

আর আপনি যখন এই লিংক এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তারপর আপনি ঠিক নিচের পিকচারের মতো দেখতে পারবেন। এবং আপনাকে দ্বিতীয় অপশনে থাকা “e-Return” এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। 

যখন আপনি উপরের অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তারপর আপনি বেশ কিছু অপশন দেখতে পারবেন। যেমন, প্রথমে আপনাকে আপনার “Taxpayer’s Identification Number (TIN)” নম্বর টি সঠিক ভাবে বসিয়ে দিতে হবে। 

তার ঠিক নিচেই আপনি আপনার পাসওয়ার্ড দেওয়ার একটি অপশন দেখতে পারবেন। সেখানে আপনার পূর্বে দেওয়া পাসওয়ার্ড টি নির্ভুল ভাবে প্রদান করবেন।

এবং সবশেষে আপনি একটি ক্যাপচা কোড দেখতে পারবেন। যেটি আপনাকে পূরণ করতে হবে। এবং তারপর আপনাকে “Sign In” নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ২ঃ কর নির্ধারন তথ্য- Tax Assessment Information

যখন আপনি সঠিক ভাবে সাইন ইন করতে পারবেন। তখন আপনি নতুন একটি পেজের মধ্যে প্রবেশ করবেন।

তারপর আপনি সবার উপরের ডানপাশে আপনার নাম সহো প্রোফাইল ডিটেইলস লক্ষ্য করতে পারবেন। 

এবার আপনাকে বামপাশের অপশন এর মধ্যে থাকা “Return Submission” নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।

উক্ত অপশন এর মধ্যে ক্লিক করলে আপনার পেজটি পুনরায় রিফ্রেশ নিবে। তারপর আপনাকে “Tax Assessment Information” বা আয়কর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে। 

তবে এখানে যে তথ্য গুলো দেওয়ার প্রয়োজন হবে। সেগুলো তে কোনো ধরনের ভুল করা যাবেনা। তাই এবার আমি আপনাকে ধাপে ধাপে এখানে তথ্য প্রদান করার বিষয় গুলো বুঝিয়ে বলার চেস্টা করবো।

যাতে করে আপনার কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। 

Return Scheme : Universal Self

সবার শুরুতে আপনি এই অপশন টি দেখতে পারবেন। তো এই অপশন এর মূল বিষয় বস্তু হলো, সার্বজনীন স্বনির্ধারনী। মুলত এই পদ্ধতি কে অনুসরন করার মাধ্যমে আয়কর নির্ধারন করা হয়ে থাকে।

আশা করি, এবার আপনি এই অপশনটি সম্পর্কে পরিস্কার ভাবে বুঝতে পারবেন।

Assessment Year: 2022-2023

আপনি একজন করযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে যে বছরে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে চান। সেই বছর টি এখানে উল্লেখ করে দিতে হবে। আর আপনি তো একটা বিষয় বেশ ভালো করেই জানবেন।

সেটি হলো, প্রতি বছর নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। তো আপনি আসলে যে অর্থ বছরে আয়কর রিটার্ণ দাখিল করতে চান। সেই বছরটি এখানে উল্লেখ করে দিতে হবে।

Income Year: 2021-2022

দেখুন, আপনারা যারা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন। তারা কিন্তুু গত বছরের আয়কর দাখিল করে থাকেন। তো চলমান যে বছর থাকবে।

আপনাকে সেই বছরের আগের বছর টি এখানে উল্লেখ করে দিতে হবে। আর এখন যেহুতু ২০২৩ সাল চলছে। সেহুতু আপনাকে এখানে অবশ্যই ২০২১-২০২২ এর সাল সিলেক্ট করতে হবে।

Any Taxable Income in the above mentioned income year

তো এবার এই অপশনে আপনি আসলে কোন অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে চান। সেটি আপনাকে নির্ধারন করে দিতে হবে।

আর আপনি যদি ২০২১-২০২২ এর করযোগ্য আয় করে থাকেন। তাহলে আপনাকে অবশ্যই “Yes” নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। 

কিন্তুু আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা এখানে একটু ভুল কাজ করে থাকে। আর সেই ভুল টি হলো, আমরা মনে করি যেহুতু আমাদের আয় এর পরিমান ৩ লাখ টাকার কম।

সেহুতু এখানে আমাদের কোনো করযোগ্য আয় এর আওতায় আনা হবেনা। তো যদি আপনিও এমনটা ভেবে থাকেন, তাহলে আপনার ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। 

কেননা, আপনি যতোই কম টাকা আয় করুন না কেন। সেটা বিভিন্ন কারণে করযোগ্য আয় এর আওতায় আসতে পারে।

আর আমরা তো বেশ ভালো করেই জানি যে, পুরুষের ৩ লাখ ও মহিলাদের ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি আয় থাকলে। তাদেরকে অবশ্যই করযোগ্য ব্যক্তিদের তালিকায় যুক্ত করা হবে।

Any Income which is fully exempted from tax

আপনাদের একটা বিষয় বলে রাখা ভালো। সেটি হলো, আমাদের বাংলাদেশ সরকার এমন অনেক আয় কে করযোগ্য আয় থেকে বাতিল করেছে।

আর আপনি যদি একজন পুরুষ বা মহিলা হয়ে উক্ত উৎস গুলো থেকে যতো বেশি টাকা আয় করুন না কেন। আপনাকে সেই আয়ের জন্য কোনো ধরনের কর দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। 

যেমন, আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে ফ্রিল্যান্সিং থেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে।

তো যারা এই পদ্ধতি তে ইনকাম করে, তাদের কোনো ধরনের কর প্রদান করার দরকার হবেনা। আবার আপনার যদি কোনো সফটওয়্যার বা আইটি সেক্টর এর ব্যবসা থাকে। তাহলেও আপনাকে কোনো ধরনের কর প্রদান করার প্রয়োজন হবেনা।

Resident Status: Resident

উক্ত অপশন এর মধ্যে আপনাকে তেমন কিছু করতে হবেনা। কারন, আপনি যেহুতু একজন বাংলাদেশ এর নাগরিক। তাই অবশ্যই আপনি এই অপশন এর মধ্যে Resident সিলেক্ট করে দিবেন।

তারপর আপনি পরবর্তী অপশন এর মধ্যে চলে যাবেন।

Heads of Income

এই ধাপে আপনাকে আপনার আয় এর উৎস নির্বাচন করে দিতে হবে। তো আপনি আসলে কোন মাধ্যম থেকে আয় করেন। সেই মাধ্যম অনুযায়ী এখানে থাকা অপশন গুলো সিলেক্ট করে দিবেন। যেমন, 

  1. Salaries: যদি আপনি কোনো ধরনের চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে এই অপশনটি সিলেক্ট করে দিতে হবে। 
  2. Interest on Securities: আপনি যদি কোনো ধরনের সঞ্চয়পত্র কিংবা কোনো সুদ যুক্ত মাধ্যম থেকে আয় করেন। তাহলে আপনাকে উক্ত অপশনটি সিলেক্ট করে দিতে হবে। 
  3. Income From House Property যারা বাড়ি ভাড়া, ব্যক্তিগত সম্পত্তি ইত্যাদি থেকে আয় করেন। তারা উক্ত অপশন টি সিলেক্ট করে দিবেন। : 
  4. Agricultural Income:কৃষি আয় এর জন্য এই অপশন টি সিলেক্ট করতে হবে। 
  5. Income From Business and Profession: বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা কিংবা এই ধরনের পেশার সাথে নিযুক্ত থাকলে উক্ত অপশন টি সিলেক্ট করতে হবে।
  6. Capital Gain: আপনার ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিক্রয় করার মাধ্যমে আয় হলে।
  7. Income from other source: যদি উপরের কোনো মাধ্যম থেকে আপনি আয় করে না থাকেন। তাহলে আপনাকে এই অপশন টি সিলেক্ট করে দিতে হবে। 

তো উপরে আপনি যে সকল আয়ের উৎস দেখতে পাচ্ছেন। আপনি আসলে যে মাধ্যমে আয় করেন, সেটি এখানে নির্বাচন করে দিবেন। আশা করি, এখানে আপনাদের বুঝতে আর কোনো ধরনের সমস্যা হবেনা।

Any Income from the Following Sources

তবে উপরোক্ত আয়েরে উৎস গুলো ছাড়াও আপনি আরো বেশ কিছু আয়ের উৎস লক্ষ্য করতে পারবেন। যেমন, আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন।

যারা আসলে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আয় করেন। তো আপনিও যদি এই মাধ্যমে আয় করে থাকেন। তাহলে আপনি অবশ্যই Income outside Bangladesh নামক অপশন টি নির্বাচন করে দিবেন। 

আর যখন আপনি উপরে উল্লেখিত যাবতীয় তথ্য গুলো সঠিক ভাবে প্রদান করবেন। তারপর আপনাকে Save & Continue নামক অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। এবং আপনি পুনরায় আরো একটি নতুন পেজে প্রবেশ করবেন।

ধাপ ৩ঃ আয়ের তথ্য – Income Information

মূলত আপনি আসলে কোন পদ্ধতি তে আয় করেন। সে বিষয়ে এবার বিস্তারিত তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে। আর আগের ধাপের মতো এখানেও আপনি বিভিন্ন ধরনের অপশন লক্ষ্য করতে পারবেন।

তাই এখন আমি আপনাকে এই ধাপের প্রত্যেক টি বিষয় কে স্টেপ বাই স্টেপ দেখিয়ে দিবো। যেমন,

Additional Information

তো সবার শুরুতে আপনি আপনার আয় এর উৎসের এলাকা উল্লেখ করে দিতে হবে। আর এখানে আপনি মোট দুইভাবে আপনার আয় এর উৎসের ঠিকানা প্রদান করতে পারবেন। যেমন, 

  1. যদি আপনি কোনো সিটি কর্পোরেশন এলাকায় থাকেন। তাহলে আপনি “City Corporation Area” সিলেক্ট করে দিবেন। 
  2. অথবা আপনি যদি কোনো গ্রাম বা ইউনিয়ন পরিষদ এর এলাকা থেকে আয় করেন। তাহলে আপনাকে “Any Other Area” সিলেক্ট করে দিবেন। 

আর যখন আপনি আপনার আয় এর উৎসের এলাকা নির্বাচন করে দিবেন। তারপর আপনাকে বেশ কিছু অপশন এর মধ্যে টিক মার্ক প্রদান করতে হবে। যেমন, 

War Wounded Gazetted Freedom: আপনি যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি উক্ত বক্স এর মধ্যে টিক মার্ক প্রদান করবেন। 

Person With Disability: মুক্তিযুদ্ধের সময় যদি আপনি যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে এই বক্স এর মধ্যে টিক মার্ক দিতে হবে। 

Claim Benefit as a Parent: আপনি যদি কোনো প্রতিবন্ধি শিশুর অবিভাবক হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে এই বক্স এর মধ্যে টিক মার্ক প্রদান করতে হবে। 

তবে আপনি যদি উপরের কোনোটিই না হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে এই বক্স গুলো তে কোনো ধরনের টিক মার্ক দিতে হবেনা।

আর যদি উপরের অপশন গুলোর সাথে আপনার সংশ্লিষ্টতা থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনি উক্ত অপশনে থাকা ফাঁকা বক্স গুলো তে টিক মার্ক প্রদান করবেন।

Claim Tax Rebate for Investment

আমরা একটা বিষয় বেশ ভালো করেই জানি। সেটি হলো, আমাদের বাংলাদেশ সরকার এমন অনেক আয় এর উৎস আছে। যেগুলো তে কর ছাড় দিয়ে থাকে।

আর আপনি যদি সেই আয় এর কারণে আয়কর ছাড় পেতে চান। তাহলে আপনাকে ‘Yes’ অপশন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। 

Shareholder Director of a Company

আপনি যদি একজন করযোগ্য ব্যক্তি হয়ে থাকেন। এবং যদি আপনি কোন ধরনের প্রাইভেট অথবা কোন ধরনের পাবলিক কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার এর পরিচালক হয়ে থাকেন।

তাহলে এই অপশন টি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর সে জন্য আপনাকে নিন্মোক্ত পদ্ধতি গুলো অনুসরন করতে হবে।

IT10B Requirement

আপনাদে একটা বিষয় বেশ ভালো করে জেনে রাখতে হবে। সেটি হলো, যখন আপনি আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন। তখন IT10B এর ফরম টি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এছাড়াও আপনি একজন করযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে যদি আপনার মোট আয় ৪০ লাখ এর বেশি হয়ে থাকে। তাহলে আপনাকে অবশ্যই উক্ত ফরম এর মধ্যে আপনার যাবতীয় আয় ব্যয় এর হিসেব গুলো সঠিক ভাবে উল্লেখ করে দিতে হবে। 

কেননা, যখন আপনি আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন। তখন আপনার রিটার্ন অবশ্যই স্বচ্ছ হতে হবে। আর আপনি যদি আপনার রিটার্ন একবারে স্বচ্ছ করতে চান।

তাহলে আপনাকে উক্ত ফরম টি সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। আর আপনি হয়তবা ভালো করেই জানবেন যে, অধিকাংশ সময় অফিস বা সম্পদ এর ব্যয় বিবরনী না থাকলে।

সেটি রিটার্ন গ্রহন করতে নানা ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। তাই চেষ্টা করবেন, উক্ত ফরম টি সঠিক ভাবে পূরণ করার। 

IT10B is not Mandatory. Still want to Submit?

তবে যদি আপনার আয়ের পরিমান ৪০ লক্ষ টাকার কম হয়ে থাকে। তাহলে ‍কিন্তুু উক্ত ফরম টি আপনার পূরণ করার প্রয়োজন হবেনা।

কেননা, উক্ত ফরমটি শুধুমাত্র তাদের কে পূরণ করতে হবে। যারা আসলে ৪০ লাখ বা তারও বেশি টাকা ইনকাম করে থাকে। আর যখন আপনি উক্ত কাজ গুলো সঠিক ভাবে করতে পারবেন।

তারপর আপনাকে “Save & Continue” এই বাটন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। 

ধাপ ৪: আয়ের বিস্তারিত তথ্য – Income Details

তো এবার আপনাকে পুনরায় আয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে হবে। কারন, উপরের অপশন গুলোতে আপনি মোট আয় সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য গুলো প্রদান করলেও।

এবার আপনাকে আপনার বাৎসরিক আয় এর প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে। 

তবে এবার আপনাকে যে বিষয় গুলো মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। সেগুলো নিয়ে নিচে আমি ধাপে ধাপে দেখিয়ে দিলাম।

আপনি অবশ্যই এই বিষয় গুলো সতর্কতার সহিতা পূরণ করার চেষ্টা করবেন। 

Tax Exempted Income – কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত আয়/ করমুক্ত আয়

আমি উপরের আলোচনা তে আপনাকে একটা কথা বলেছি। সেটি হলো, আপনি যদি কোন ধরনের আইটি সেক্টর থেকে ইনকাম করেন।

এবং যদি আপনি অনলাইন ইনকাম বা ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা আয় করেন। তাহলে কিন্তু আপনাকে কোনো ধরনের কর প্রদান করার প্রয়োজন পড়বে না। 

আর আপনি যদি সত্যিকার অর্থে এসব খাত থেকে টাকা ইনকাম করে থাকেন।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে আয় এর উৎস হিসেবে সেই বিষয় গুলো সঠিক ভাবে উল্লেখ করে দিতে হবে। যা আপনি নিচের পিকচার এর মধ্যে দেখতে পাচ্ছেন। 

Income Summary

এবার আপনাকে আপনার বাৎসরিক আয় এর তথ্য প্রদান করতে হবে। তবে এখানে শুধু আয় দেখালেই হবেনা। বরং আয় এর পাশাপাশি আপনাকে আপনার ব্যয় এর খরচের তথ্যও প্রদান করতে হবে।

যেমন, আপনি যদি কোনো ধরনের ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করে সেখান থেকে প্রতি বছর ২ লক্ষ টাকা বা তার বেশি পরিমান টাকা ইনকাম করেন। 

এর পাশাপাশি যদি আপনার ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমান টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। তাহলে সেই আয় এবং ব্যয় এর হিসেব করার পর, আপনার নিকট যে পরিমান টাকা অবশিষ্ট থাকবে। মূলত সেটিই হবে আপনার নীট আয়।

যেমন ধরুন, আপনি যদি প্রতি বছর ৩ লাখ টাকা ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করে আয় করেন। এবং আপনার ব্যয় যদি মোট ৫০ হাজার টাকা হয়।

তাহলে আপনার নিকট অবশিষ্ট থাকবে, ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মূলত এই টাকা হলো, আপনার নীট আয়।

তো এই অপশন এর মধ্যে আপনার নীট আয় সহো আপনি যে পরিমান টাকা আয় করেন। তার সকল হিসেব গুলো একেবারে সঠিক ভাবে প্রদান করতে হবে।

আর যখন আপনি এই যাবতীয় তথ্য গুলো প্রদান করবেন। তারপর আপনাকে “Save & Continue” নামক বাটন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ৫: ব্যয়ের তথ্য – Expenditure

এবার আপনাকে আপনার মোট ব্যয় এর যাবতীয় তথ্য গুলো প্রদান করতে হবে। মূলত আপনি যদি একজন করযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে ৪০ লাখ কিংবা তার থেকে বেশি পরিমান টাকা ইনকাম করে থাকেন।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার মোট আয় এর মধ্যে ব্যয় হওয়ার পরিমান কে সঠিক ভাবে উল্লেখ করে দিতে হবে। 

আর সেজন্য আপনাকে IT10B এর ফরমটি পূরণ করতে হবে। এবং যখন আপনি উক্ত ফরম টি পূরণ করবেন। তখন আপনাকে “Yes” বাটন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। 

কিন্তুু যদি আপনার বাৎসরিক ইনকাম এর পরিমান ৪০ লাখ টাকার কম হয়ে থাকে। তাহলে আপনার উক্ত ফরম টি পূরণ না করলেও চলবে।

সেজন্য আপনি আপনার পারিবারিক ও ব্যক্তিগত যে পরিমান টাকা খরচ হয়। আপনাকে সেই পরিমান খরচ এর টাকা উল্লেখ করে দিতে হবে। 

এবং যখন আপনি উপরোক্ত তথ্য গুলো প্রদান করবেন। তখন আপনাকে পুনরায় “Save & Continue” নামক বাটন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ৬: সম্পদ ও দায় বিবরণী পূরণ

আপনাদে মধ্যে যে সকল মানুষ প্রথমবার করযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে আওতাভুক্ত হয়েছেন। তাদের যে পরিমান সম্পদ রয়েছে। তার যাবতীয় তথ্য গুলো উক্ত অপশন এর মধ্যে প্রদান করতে হবে। যেমন, 

  1. আপনার সঞ্চয় পত্রের মধ্যে কত টাকা রয়েছে। 
  2. আপনার কোন কোন ব্যাংক এর মধ্যে ডিপিএস রয়েছে। 
  3. ব্যাংক একাউন্ট এর মধ্যে কত টাকা নগদ সঞ্চয় করা আছে। 
  4. কি পরিমান ফার্নিচার ও ইলেকট্রনিক্স পন্য রয়েছে। 
  5. আপনার নিকট কি পরিমান স্বর্ণ অলংকার রয়েছে। 

তো আপনারা যারা নতুন করদাতা হিসেবে নির্ধারিত হয়েছেন। তাদের যে সকল সম্পদ ও দায় এর বিবরনী প্রদান করতে হবে। সেগুলো উপরে প্রত্যেকটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

কিভাবে সম্পদ ও দায় বিবরণী মিলকরণ করবেন

আপনারা যারা নতুন করদাতা, তারা আসলে কিভাবে তাদের সম্পদ ও দায় বিবরনী মিলকরন করতে পারবেন। সেগুলোর কিছু উদাহরন নিচের টেবিল এর মধ্যে উল্লেখ করা হলো। যেমন,

নতুন করদাতার জন্য প্রযোজ্য

নীট সম্পদের পরিমাণ (মোট সম্পদ – দায় ও ঋণ) XXXX
(+) আয়বর্ষে আপনার মোট ব্যয় (জীবনযাপন, লোকসান, দান ও অন্যান্য সকল) XXXX
(-) আয়বর্ষে আপনার মোট আয় (করযোগ্য ও কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত সকল আয়) XXXX
(=) গত আয়বর্ষের শেষে সঞ্চিত অর্থ (অন্যান্য প্রাপ্তি হিসেবে দেখাবেন ) XXXX

পুরাতন করদাতার জন্য প্রযোজ্য

উপরে আপনি যে ছকটি দেখতে পাচ্ছেন, সেটি মূলত নতুন করদাতার জন্য প্রযোজ্য। তবে আপনি যদি এর আগেও কর দিয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে নিচের ছক অনুযায়ী আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। যেমন, 

(=) আপনার মোট ব্যয় (জীবনযাপন, লোকসান, দান ও অন্যান্য সকল) XXXX
(-) নীট সম্পদের পরিমাণ (মোট সম্পদ – দায় ও ঋণ) XXXX
(+) আয়বর্ষে আপনার মোট আয় (করযোগ্য ও কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত সকল আয়) XXXX
গত আয়বর্ষের নীট সম্পদ (পূর্ববর্তী বছরের রিটার্নে যত টাকা সম্পদ দেখানো হয়েছে) XXXX

উপরের তালিকার মধ্যে আপনি করদাতা ব্যক্তির মোট সম্পদ ও সেই ব্যক্তির দায় এর বিবরনী সামারি দেখতে পাচ্ছেন। আর যখন আপনি এই তথ্য গুলো সঠিক ভাবে প্রদান করবেন।

তারপর আপনাকে পুনরায় “Save & Continue” নামক বাটন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। 

ধাপ ৭: আয়কর ও পরিশোধ – Tax and Payment

তো এই ধাপে আপনি আপনার আয়কর এর পরিমান সম্পর্কে জানতে পারবেন। এবং আপনাকে উক্ত পরিমান আয়কর প্রদান করতে হবে।

এছাড়াও আপনি যদি আগে থেকে কোনো আয়কর পরিশোধ করে থাকেন। তাহলে আপনি এই অপশন এর মধ্যে সেই আয়কর পরিশোধ করার যাবতীয় তথ্য গুলো দেখতে পারবেন। 

কিন্তুু যদি আপনার আয় এর উপর নির্ভর করে কোনো ধরনের কর প্রদান করার প্রয়োজন না হয়। তাহলে আপনার কর এর পরিমান একবারে শুন্য আসবে।

আর যখন আপনার কর এর পরিমান একবারে শুন্য আসবে। তখন তাকে আয়কর এর ভাষায় বলা হবে, জিরো রিটার্ন। 

আর যখন আপনি এই ধাপ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেন। তখন আপনাকে একবারে সর্বশেষ ধাপে চলে যাবেন। তো এখন আপনি চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমে আপনার আপনার আয়কর দাখিল করতে পারবেন।

অথবা আপনি সেই আয়কর দাখিল এর অনলাইন কপিটি ডাউনলোড করার পর। সেটি কে প্রিন্ট করে স্বশরীরে আয়কর এর সার্কেল এর কাছে গিয়ে জমা দিতে পারবেন। 

অফলাইন রিটার্ন (Offline Return)

তো যদি আপনি অফলাইন এর মাধ্যমে আপনার আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে চান। তাহলে আপনাকে একটি ছোট্ট কাজ করতে হবে।

সেটি হলো, আপনাকে Proceed to offline এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। এবং যখন আপনি উক্ত অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তারপর আপনাকে উক্ত ফরম টি প্রিন্ট করে নিতে হবে।

অনলাইন রিটার্ন (Online Return)

তবে আপনি যদি আপনার আয়কর অনলাইন এর মাধ্যমে দাখিল করতে চান। তাহলে আপনাকে Proceed To Online Return এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। 

এবং যখন আপনি উক্ত অপশন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তখন আপনাকে নিচে দেখানো ছবির মতো একটি আয়কর রিটার্ন ফরম এর প্রিভিউ দেখতে পারবেন। এবং তারপর আপনাকে “Yes” বাটন এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময় সতর্কতা

মনে রাখবেন, সবশেষে আপনার নিকট অনলাইনে আয়কর দাখিল করার জন্য চুড়ান্ত ভাবে পারমিশন চাওয়া হবে। আর যখন আপনি সবশেষে “Yes” বাটন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তারপর আপনার আয়কর রিটার্ন অনলাইন এর মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। 

কিন্তুু যদি আপনার মনে কোনো ধরনের সন্দেহ থাকে। তাহলে আপনি “No” তে ক্লিক করতে পারবেন। এবং পুনরায় আপনি আপনার তথ্য গুলো যাচাই বাচাই করতে পারবেন।

আর যখন আপনার মনে হবে যে, আপনার প্রদান করা সকল তথ্য গুলো সঠিক। তারপর আপনি “Yes” বাটন এর মধ্যে ক্লিক করবেন।

ধাপ ৮: Download Acknowledgement Receipt

তো আপনি যখন ”Yes” বাটন এর মধ্যে ক্লিক করবেন। তখন আপনি ঠিক নিচের পিকচারের মতো দেখতে পারবেন। যেখানে ছোট্ট করে একটা মেসেজ থাকবে এবং আপনাকে একটি রেফারেন্স আইডি প্রদান করা হবে।

এবং আপনি এখানে একটি Acknowledgement Receipt দেখতে পারবেন। যেটি আপনি সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। 

আর যখন আপনি উপরোক্ত সকল ধাপ গুলো সঠিক ভাবে অনুসরন করতে পারবেন। তারপর আপনি সফলভাবে অনলাইনে আপনার আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।

কিন্তুু আপনি যদি আপনার আয়কর রিটার্ন দাখিল যাচাই করতে চান। তাহলে উক্ত কাজটি আপনি অনলাইন থেকেই করতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে নিচে দেখানো পদ্ধতি টি ফলো করতে হবে।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন যাচাই

আপনি যদি অনলাইনে আপনার আয়কর রিটার্ন দাখিল করার পর। সেটি পুনরায় অনলাইন থেকে চেক করে নিতে চান। তাহলে আপনাকে নিন্মোক্ত পদ্ধতি গুলো ফলো করতে হবে। যেমন, 

  1. প্রথমে আপনাকে এই লিংক এর মধ্যে ক্লিক করতে হবে। 
  2. তারপর আপনাকে আপনার TIN নম্বর প্রদান করতে হবে। 
  3. এবং সবশেষে আপনাকে ক্যাপচা কোড টি পূরণ করতে হবে। 

তো উপরের পদ্ধতি টি অনুসরন করে আপনি আপনার অনলাইন আয়কর রিটার্ন যাচাই করে নিতে পারবেন। আশা করি, এখানে আপনার কোনো ধরনের সমস্যা হবেনা।

আমাদের শেষকথা

আজকের এই লেখাটি শুধুমাত্র তাদের জন্য হেল্পফুল হবে। যারা আসলে তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে চায়।

কারণ, আজকে আমি আপনাকে দেখিয়ে দিয়েছি যে, কিভাবে অনলাইন এবং অফলাইন এর মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। 

তবে এরপরও যদি আপনার কোনো ধরনের সমসা হয়। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আর এই ধরনের অজানা বিষয় গুলো সম্পর্কে খুব সহজ ভাষায় জানতে চাইলে আমাদের সাথে থাকবেন।

ধন্যবাদ, এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top